গাজীপুরে রুহুল কবির রিজভী

ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বৈঠক কেন যেন মনে হয়েছে অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বৈঠক কেন যেন মনে হয়েছে অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে। অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছেন না। কেন এই জ্বালা ভাই আপনাদের? আপনাদের উদ্দেশ্য কী?’

গতকাল গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক শামীমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বেপারি, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তাহের মুসল্লি, এমদাদুল হক মুসল্লি প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘আমাদের দেশের বিরুদ্ধে সব সময়ই ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে। আমরা কেউ এই চক্রান্তের বাইরে নই। অন্তর্বর্তী সরকার, ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং বিএনপির ১৫-১৬ বছরের এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি ড. ইউনূস সাহেব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছেন।’

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে কি নির্বাচনী প্রচারণা করা যায়? তবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের পর গোটাটাই রমজান থাকবে আর থাকবে ঈদের আয়োজন। আপনি ১-১৫ এপ্রিলের মধ্যে কোথায় প্রচারণা চালাবেন? কখন আইনি প্রক্রিয়া হবে? কখন নমিনেশন পেপার জমা দেবেন? কখন প্রচার চালাবেন? কীভাবে প্রচার চালাবেন? সারাদিন রোজা রেখে কি করে এপ্রিল মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়া সম্ভব? যে সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ধর্মীয় উৎসব, রোজা-ঈদ থাকবে না সে সময়টাই নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত।’

একটি রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের কিছু রাজনৈতিক বন্ধু উষ্মা প্রকাশ করেছেন, লন্ডনের বৈঠককে তারা বলেছেন নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হবে। ভাই আপনাদের ইতিহাসটা বলুন তো দেখি। আপনারা কখন নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। পাকিস্তান আন্দোলনে আপনারা সমর্থন করেননি। আপনারা ৭১ সালে জনগণের বিরোধিতা করেছেন। আপনারা ৮৬ সালে শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করেছেন। ৯৫ সালে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে হাসিনার সঙ্গে আন্দোলন করেছেন। আপনারা এবার ৫ আগস্টের পর বলেছেন, আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেব, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করব। তাহলে আপনাদের রাজনীতিটা কিসের রাজনীতি?’

আরও