বাংলাদেশ এখন আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থার ওপর নির্ভরশীল নয়। তাই আইএমএফের সব শর্ত মানা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে আইএমএফের ঋণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ থাকবে কি থাকবে না সেই কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেখানে ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে দরকষাকষি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ও দেশটির সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আহরণ বাড়ানো ও মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার বিষয়ে আইএমএফের শর্তের বিষয়ে দরকষাকষি হয়েছে। ওদের সব শর্ত আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। আমরা তাদের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আইএমএফও বলেছে যে তারা আমাদের সহায়তা করতে চায়। তাদের সহায়তা ছাড়াই গত কয়েক মাসে আমরা বিনিময় হার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থার ওপর বাংলাদেশ এখন আর নির্ভরশীল নয়। সেই দিন আর নেই। প্রয়োজনে ঋণ কর্মসূচিতে থাকব কি থাকব না সে বিষয়ে আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নেব।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত ইস্যুতে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তুলা আমদানিতে শুল্কছাড় দিয়েছি। তুলার জন্য বন্ডেড ওয়্যারহাউজ করার কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে।’