ভোলার চরাঞ্চলের শিশুরা ভিটামিন ‘এ’ পায়নি

ভোলার বিভিন্ন স্থানে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হলেও দৌলতখান উপজেলার চর মদনপুরের শিশুরা তা পায়নি।

ভোলার বিভিন্ন স্থানে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হলেও দৌলতখান উপজেলার চর মদনপুরের শিশুরা তা পায়নি। গতকাল ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের একটিতেও ইপিআই ক্যাম্প বসেনি। এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীরাও যাননি বলে জানান অভিভাবকরা। ওই চরে সহস্রাধিক শিশু রয়েছে। অবশ্য বাদ পড়া শিশুদের পরবর্তী তিনদিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন দৌলতখান উপজেলার ইপিআই কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গতকাল ভোলায় ১০টি স্থায়ী কেন্দ্রসহ ১ হাজার ৬৯০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে দুজন স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও দ্বীপ জেলার অদূরবর্তী চরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতাকে দায়ী করছে চরের বাসিন্দারা।

অবশ্য গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন চর মদনপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী মো. আকবর হোসেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়নটিতে আটটি কেন্দ্র রয়েছে। সকালে ভোলা থেকে ক্যাপসুল নিয়ে ভলান্টিয়ারের হাতে ক্যাপসুল তুলে দিয়ে সেখান থেকে আমি চলে এসেছি। ভলান্টিয়াররা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় অনেকেই ক্যাপসুল পায়নি। তবে আজ আমি দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিটি কেন্দ্রেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করব।’

ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা ইব্রাহিম ও মাকছুদ জানান, চরের কোথাও টিকার ক্যাম্প বসেনি এবং কোনো স্বাস্থ্যকর্মীকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শিক্ষিকা জান্নাত বেগম ও পল্লী চিকিৎসক মো. নীরব জানান, গতকাল শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নির্ধারিত তারিখ থাকলেও এখানে কোনো ক্যাম্প বসেনি। স্বাস্থ্যকর্মীরাও আসেননি।

এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলার ইপিআই কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মদনপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের ক্যাম্প রয়েছে। যদি কোনো স্বাস্থ্যকর্মী না গিয়ে থাকে তবে বাদ পড়া শিশুকে পরবর্তী তিনদিনে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।’

ভোলায় এবার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৭টি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা। ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৩২ হাজার ৯৯৭টি শিশুকে এক লাখ ইউনিটের একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৪৩ হাজার ২৮০ শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা।

আরও