সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের রায় বাতিলের আপিল
শুনানিতে অংশ নিতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন দুই শিক্ষার্থী, তবে কোটা বিরোধী আন্দোলনের
সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক এ আবেদন করেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকালে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন বিশেষ চেম্বার আদালত।
এর আগে ৫ জুন ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে
সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে জারি করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র
বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট, ফলে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ৯ জুন আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে তা শুনানির জন্য পুর্ণাঙ্গ
বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আপিল বিভাগে
আবেদনটি শুনানির কথা থাকলেও পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নিয়মিত আপিল করতে বলেন প্রধান
বিচারপতি।
আবেদন হয়েছে ২ টি। একটি পক্ষভুক্ত হওয়ার, আরেকটি রায় স্থগিত চেয়ে। পক্ষভুক্তির আদেশ আজ বিকালে চেম্বার আদালতে দেয়া হবে। আর
রায় স্থগিতের আবেদনের শুনানি আগামীকাল বুধবার (১০ জুলাই) ফুল কোর্ট বেঞ্চে। আবেদনকারী
দুই শিক্ষার্থী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বডি থেকে কোনো প্রতিনিধি হাইকোর্টে যাননি। আমাদের এক দফা দাবি দেশের নির্বাহী বিভাগের কাছে ‘সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।’ এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক নাহিদ বলেন, এটা আমাদের অফিশিয়াল
স্টেটমেন্ট। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের
দাবি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের কাছে। যারা আদালতে গেছে নিজ উদ্যোগে গেছে। এর সঙ্গে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।