সহস্রাধিক মানুষের বিক্ষোভ

বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ধানমন্ডি-৩২

বিক্ষোভকারীরা মিছিল করছিলেন এবং স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।

রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে সরকার পতনের দিন এ বাড়িটি পুড়িয়ে দেয় জনতা। এবার দ্বিতীয় দফায় বাড়িটিতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করা হলো। আজ রাত ৮টায় বিক্ষোভ-ভাংচুর শুরু হয়। রাত ১১টায় একটি বুলডোজার এসে গুঁড়িয়ে দেয় ধ্বংসাবশেষ। পরে একটি এক্সকাভেটরও আসে।

বিক্ষোভকারীরা মিছিল করছিলেন এবং স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এটি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দিন পুড়িয়ে দেয়া বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। বাড়িটি ৫ আগস্ট ভাংচুরের আগ পর্যন্ত যাদুঘর হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল।

এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়াকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ধানমন্ডি-৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিলের’ কর্মসূচির ডাক দেয় ‘২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র–জনতা’। পাশাপাশি ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।

আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের কথা রয়েছে। একে কেন্দ্র করে আজ বিকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি।

অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাংচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই রাত আটটার দিকে সেখানে ঢুকে ভাংচুর শুরু করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যা সাতটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’

শেখ মুজিবুর রহমান তার এই বাসভবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগের দিনগুলোতে দিকনির্দেশনা দিতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী–পুত্র, পুত্রবধূসহ আত্মীয়দের হত্যা করা হয়েছিল এখানে। এ বাড়িটিকে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।

আরও