রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল দাবিতে অনশন ভেঙেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের আশ্বাসে তারা জুস ও বিস্কুট খেয়ে অনশন ভাঙেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে আমরণ অনশন শুরু করেন চার শিক্ষার্থী। এরপর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনশনে অংশ নেন। সেখানে অন্তত নয়জন শিক্ষার্থী সারারাত অবস্থান করেন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে গতকাল সকালে বেশকিছু শিক্ষার্থী অনশনে অংশ নেন। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানসহ প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা কয়েক দফা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে অনড় থাকেন। দুপুরে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা আপাতত এটা স্থগিত করেছেন। আগামীকালের মধ্যে যদি সিদ্ধান্ত না আসে, দাবির সঠিক প্রতিফলন যদি না ঘটে, তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সব জায়গায় সংস্কার ও নতুন করে চিন্তা করার দরজা উন্মুক্ত হয়েছে। নতুন বাস্তবতায় কোটা রাখার সুযোগ নেই। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ৩ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার পক্ষে ৮০-৯০ শতাংশ স্টেকহোল্ডাররা (অংশীজনেরা) মতামত দিয়েছেন। সেখানে আমার অবস্থান জানিয়ে তাদের বলেছি, এটি রাখার পক্ষে সুস্পষ্ট কোনো যুক্তি আমার কাছে নেই।’
উপাচার্য বলেন, ‘নিয়ম ও যুক্তির মধ্য দিয়ে এটা সমাধান করতে হবে। সর্বোচ্চ সহানুভূতি ও বিবেচনা দিয়ে একটা রিভিউ কমিটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসবে এবং তাদের কথা শুনবে। সেখানে দাবি, সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরতে পারবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক ও বেশকিছু কর্মকর্তা আছেন, যাদের জন্য পোষ্য কোটা মানায় না। আবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা একেবারে নিম্ন আয়ের, জীবন নিয়ে সংগ্রাম করেন, যদি সুযোগ থাকে, এসব বিষয়ও উঠে আসবে আলোচনায়।’