দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি, কমছে দাম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। দীর্ঘ ১৯ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে আমদানি বাড়ছে। ফলে বাজারে সরবরাহও স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।

সরকার ধানের দাম বাড়ানোর অজুহাতে চালের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনে। পরে ৩১ অক্টোবর শুল্কমুক্ত চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। ১০ নভেম্বর আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া হলে ১১ নভেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।

হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা অনুপ বসাক বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমেছে। আগের ৫৮-৫৯ টাকায় বিক্রি হওয়া স্বর্ণা জাতের চাল এখন কেজিতে ২-৩ টাকা কমে ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন ধান উঠতে শুরু করায় দাম আরো কমার সম্ভাবনা আছে।

চাল কিনতে আসা আব্দুল ওহাব বলেন, ‘কয়েক দিন আগে প্রতি কেজি চাল ৬০ টাকায় কিনেছিলাম। আজ ২ টাকা কমে ৫৮ টাকায় কিনলাম। তবুও দাম এখনো অনেক বেশি। আরো কমলে আমাদের জন্য ভালো হয়।’

রোকসানা বেগম বলেন, ‘চালের দাম অনেক বেশি। সবকিছুর দাম এত বেশি যে জীবন চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দাম কমলে আমাদের মতো মানুষের জন্য ভালো হবে।’

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভারত থেকে চাল আমদানির ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দামও কমেছে। বন্দরে আমদানিকৃত চাল সাড়ে ৫২ থেকে সাড়ে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হলে বাজারে সরবরাহ আরো স্বাভাবিক রাখা যাবে।’

শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুল্কমুক্ত চালের শুল্কায়ন দ্রুত শেষ করে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। ১১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩২টি ট্রাকে ৪ হাজার ৮৮৮ টন চাল আমদানি হয়েছে। আমদানি বাড়ার ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সরকারের এই উদ্যোগ নিম্ন আয়ের মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। তবে তাদের দাবি, চালের দাম আরো কমিয়ে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা হোক।

আরও