লক্ষ্মীপুরে ট্রাকচাপায় সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী নিহত

রোববার সকালে রামগতির আলেকজান্ডার থেকে লক্ষ্মীপুর শহরের ঝুমুরের উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সেটি লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান অটোরিকশার যাত্রী আলমগীর।

লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কে ট্রাকের চাপায় আলমগীর হোসেন (৫৫) নামে এক সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হন আরো দুজন। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আলমগীর হোসেন রামগতি উপজেলার চর আফজাল গ্রামের মৃত সেকান্তর আলী পন্ডিতের ছেলে। আহতরা হলেন— রামগতি উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে হাসান মাহমুদ ও সিএনজি অটোরিকশা চালক ফেরদৌস।

স্থানীয় লোকজন ও আহতদের স্বজনরা জানায়, রোববার সকালে রামগতির আলেকজান্ডার থেকে লক্ষ্মীপুর শহরের ঝুমুরের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সেটি লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান অটোরিকশার যাত্রী আলমগীর। আহত হন কলেজ শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ ও সিএনজি চালক ফেরদৌস। দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশাটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়।

নিহত আলমগীরের ভগ্নিপতি মো. জামাল হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুর আদালতে থাকা একটি মামলায় আলমগীরের হাজিরা ছিল। তিনি হাজিরা দেয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে সিএনজি যোগে লক্ষ্মীপুর শহরের দিকে রওনা হন। পথেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরূপ পাল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন।

লক্ষ্মীপুর মডেল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত আলমগীর হোসেনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাক চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও