ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে শহরের সদর রোডে প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী দীর্ঘ এ মানববন্ধনে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য গ্যাস সংযোগ না দিলে ভোলার বাইরে গ্যাস নিতে দেয়া হবে না বলেও মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভোলা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, প্যানেল মেয়র ও পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন লিংকন, জাতীয় পার্টির (বিজেপি) ভোলা জেলা সভাপতি আমিরুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপু, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিবুল্লাহ নাজু, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ভোলা জেলার সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ নন্দীসহ পৌর কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ভোলায় বর্তমানে বাপেক্সের (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লি.) অধীনে নয়টি কূপ রয়েছে। এ নয়টি কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। ভবিষ্যতে দৈনিক আরো প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভোলার জনগণের ন্যূনতম গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা বিবেচনা না করে এ গ্যাস জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
বক্তারা বলেন, যেহেতু দেশের যাবতীয় সম্পদের মালিক সরকার, সেহেতু সরকার যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে। ভোলার জনগণকে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে গ্যাস অন্যত্র নিলে ভোলাবাসীর কোনো আপত্তি থাকবে না। তাই উৎপাদিত গ্যাসের শুধু ২-৩ শতাংশ গ্যাস ভোলাবাসীকে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে দেশের অন্যান্য শিল্পকারখানায় সরবরাহের পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান বক্তারা।
ভোলায় গৃহস্থালিকাজে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ না দিলে ভোলার বাইরে গ্যাস নিতে দেয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা আরো বলেন, ‘ভোলায় নতুন নতুন গ্যাসকূপ পাওয়ায় গ্যাস নিয়ে ভোলাবাসীর প্রত্যাশা বাড়ছে। দেখা দিয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনা। বর্তমানে ভোলায় চারটি বিদ্যু কেন্দ্র, তিনটি শিল্পকারখানা এবং ২ হাজার ৩৫০টি আবাসিক সংযোগে গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে। গৃহস্থালিকাজে গ্যাস দেয়ার জন্য সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ডিমান্ড নোটের (চাহিদাপত্র) মাধ্যমে ৭০০-৮০০ গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা জমা নিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ চার বছরের অধিক সময় গ্রাহক গ্যাসের সংযোগ পাননি।