কোটা বিরোধী আন্দোলনে প্রতীকী মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এক দফা আদায়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো- সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে (১-২০) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য (প্রতিবন্ধী ও উপজাতি) কোটাকে নূন্যতম মাত্রায় আনতে হবে।

কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এক দফা আদায়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো- সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে (১-২০) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য (প্রতিবন্ধী ও উপজাতি) কোটাকে নূন্যতম মাত্রায় আনতে হবে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। বিকেল ৪টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে ঐ সড়কের উভয় লেনে সাময়িক যানজট সৃষ্টি হয়। 

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার থেকে একটি মিছিল নিয়ে মহাসড়কে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা।

 অবরোধকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া। তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে যখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু হয় তখন বলা হয়েছিল- এটি অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত। এত বছর পরেও সেই অন্তর্বর্তীকালীন সময় পার হয়নি। এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা প্রথা বহাল থাকার যৌক্তিকতা নেই। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য- আমরা কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই। তবে সেটা শুধু অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্য।

বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছিলাম বৈষম্য নিরসনের জন্য। আবার যদি বাংলায় কোনো বৈষম্য হয় আমরা আবারও রাজপথে নামতে প্রস্তুত। বৈষম্য নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পূর্বের ৪ দফা দাবিগুলো হলো-২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা  সংরক্ষণ, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আরও