আত্মগোপনে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা গ্রেফতার

গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সামরিক শাখার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সানোয়ার হোসেনকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গতকাল শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে নওগাঁর পত্নীতলা থানার নজিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সানোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আজ রোববার দুপুরে নওগাঁর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় ২০১২ সালে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেন নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রি কাজের পাশাপাশি ভেড়া লালন-পালন করতেন।

তিনি জানান,সানোয়ার ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভূক্ত হন। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির কিছু দিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হয়।

পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তাদের আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়। তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার আ. শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্য মতে, মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেফতার সানোয়ার হোসেন (৪৪) গত ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। তাছাড়া গোমস্তাপুর থানার একটি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

আরও