রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে সাতশ শিক্ষার্থীর ওএমআর শিট বাতিল হয়েছে। বৃত্ত ভরাটে ভুলের কারণে এসব ওএমআর বাতিল হয়। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ম্যানুয়ালি যাচাই করে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন।
গত ১৯ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। পরে ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় এর ফল প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশের পর জানা যায়, ওএমআর শিটে রোল নম্বর বা প্রয়োজনীয় বৃত্ত ভরাটে ভুলের কারণে বড় সংখ্যক শিক্ষার্থীর ওএমআর বাতিল হয়েছে।
এর আগে, ১২ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয় এবং ১৭ এপ্রিল এর ফল প্রকাশিত হয়। ওই ইউনিটে মাত্র ৯টি ওএমআর বাতিল হয়েছিল। তবে ‘বি’ ইউনিটের ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি যাচাই করে অনেক ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছিল। অথচ ‘এ’ ইউনিটের ক্ষেত্রে বৃত্ত ভরাটে সামান্য ত্রুটিও সরাসরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাজিদুল ইসলাম বলেন, কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের উচিত ছিল শিক্ষার্থীর ভুল ঠিক করে স্বাক্ষর করা। কিন্তু সেটা না করে কীভাবে স্বাক্ষর দিলেন? এটা শিক্ষকের দায়িত্বের গাফিলতি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. আরমান আলিফ বলেন, আমি সেকেন্ড টাইমার। গত বছর চান্স পাইনি বলে বছরটা অফ করেছিলাম। স্বপ্ন ছিল রাবিতে পড়ার। পরীক্ষাও ভালো হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখি, ওএমআর বাতিল হয়েছে। রোল ভুল হয়েছে বলে।
তিনি আরো বলেন, রোল নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কপিতে আছে। সেখান থেকে রোল দেখে যদি ভুল ঠিক করা হতো, তাহলে ভুল সংশোধন করা যেত।
আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাঈসা মাহাজাবিন বলেন, একটা বছর পাগলের মতো পড়েছি। যদি চান্স না পেতাম তবুও মানিয়ে নিতাম। কিন্তু এভাবে ওএমআরের ত্রুটিতে ফল বাতিল হওয়াটা মেনে নিতে পারছি না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, গতকাল বিকালে বিষয়টি জানতে পেরেছি। শিক্ষার্থীরাই ওএমআরে ভুল করেছে। তবে রোল নম্বর দেখে ভুল ঠিক করার চেষ্টা আমরা করি। 'বি' ইউনিটে সেটা করা হয়েছিল। ‘এ’ ইউনিটে সংখ্যাটা একটু বেশি। এ নিয়ে শনিবার জরুরি সভা হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।