চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে সম্প্রতি ২০টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও বাড়ছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নদীপাড়ের সহস্রাধিক পরিবার। এছাড়া সদর উপজেলার উত্তর গুনরাজদী, ইচলী, হরিনা ঘাট, হরিসভাসহ নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি বছর বাগাদী ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দেয়। সরকারের মন্ত্রী, এমপিরা স্থানটি পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শুধু। কাজের কাজ কিছুই করেননি। ভাঙনে এ এলাকায় মানুষের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল দুপুরে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে বাগাদী ইউনিয়নের ইসলামপুর গাছতলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জমাদারবাড়ী, খানবাড়ী ও গাজী বাড়ীসহ দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বিলকিস ও তাসলিমা বেগম বলেন, ‘এক সপ্তাহে আমাদের গ্রামের ২০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে মসজিদ, মাদ্রাসা, বসতবাড়ি, কবরস্থান ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের ঝুঁকিতে।’
একই এলাকার সৈয়দ খান ও জাকির হোসেন বলেন, ‘এরই মধ্যে সমস্যার কথা জানিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে একাধিকবার স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। বিগত বছরগুলোয় ভাঙন তীব্র হলে সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। নদীর তীরে ভাঙনকবলিত স্থানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।’