উৎসে মূসকের ৩৯ কোটি টাকা দিচ্ছে না দুই পাসপোর্ট অফিস

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন ফি এর ওপর ১৫ শতাংশ হারে উৎসে ভ্যাট দিতে হয়।

গোপালগঞ্জ ও যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কাছে পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন ফি এর ওপর কর্তন করা প্রযোজ্য উৎসে মূল্য সংযোজন কর বা মূসকের (ভ্যাট) ৩৯ কোটি ৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকা পাওনা হয়েছে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। ২০১৪ সাল থেকে এসব টাকা বকেয়া রয়েছে। এনবিআর সদস্যের (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) কাছে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার শেখ আবু ফয়সল মো. মুরাদের লেখা চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন ফি এর ওপর ১৫ শতাংশ হারে উৎসে ভ্যাট দিতে হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পাওনা অর্থ পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট অফিসগুলোকে তাগাদা দেয়া হলে তারা জানান, বকেয়া পরিশোধ করার মতো অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পাসপোর্টের ডিজিকে তারা চিঠি লিখেছেন। বকেয়া মূসক পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট অফিসগুলোর অনুকূলে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করতে পাসপোর্টের ডিজিকে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় তাকে টেলিফোনে অনুরোধ করা হলে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলোকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া সম্ভব নয়। পরে ডিজিকে তার পোষক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু, এ বিষয়ে তার কাছ থেকে কোনো কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হস্তক্ষেপ কামনা করেছে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।

জানতে চাইলে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শেখ আবু ফয়সাল মো. মুরাদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গোপালগঞ্জ ও যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আমার অধিক্ষেত্রে রয়েছে। তাদের থেকে এ বকেয়া টাকা পাওনা হয়েছি। এটা ২০১৪ সাল থেকে বকেয়া রয়েছে।’

আরও