বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র

২৯ বছরের গবেষণায় মসলাজাতীয় ৫৭ ফসল উদ্ভাবন

দেশে মসলাজাতীয় ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র।

দেশে মসলাজাতীয় ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র। উদ্ভাবন, উৎপাদন প্রক্রিয়া, পরিবর্তনশীল জলবায়ু মোকাবেলায় স্বল্পসময়ে অধিক উৎপাদনক্ষম উচ্চ গুণাগুণসম্পন্ন জাত, উৎপাদন পদ্ধতি মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনে কাজ করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। আমদানিনির্ভরতা কমাতে গবেষণা কেন্দ্রটিতে ৪৬টি দেশী-বিদেশী মসলার ওপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ৩০টি মসলাজাতীয় ফসলের ওপর ২৯ বছর গবেষণা করে ৫৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠত হয় ১৯৯৫ সালে। তবে ২০০১ সালে কাজ পুরোদমে শুরু হয়। দেশে প্রথমবারের মতো মূল্যবান ফসল ভেনিলা চাষসহ বস্তায় আদা চাষে সফল হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জিরার আবহাওয়া উপযোগী জাত উদ্ভাবন করে তা কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণকাজ চলমান। জাফরান, কালো এলাচ, গোলমরিচসহ অন্যান্য মসলার বাণিজ্যিক উৎপাদন নিয়েও গবেষণা করছেন কর্মকর্তারা। কেন্দ্রের অধীনে সারা দেশে তিনটি আঞ্চলিক কেন্দ্র (গাজীপুর, মাগুড়া কুমিল্লা) এবং সাতটি উপকেন্দ্র রয়েছে। বিশ্বে মসলা রয়েছে ১০৯ প্রকার। আর বাংলাদেশে ব্যবহার হয় প্রায় ২৭ প্রকার মসলা। তবে চাষ হয় ২০ প্রকার। দেশে মসলা চাষ হওয়ার পরও রয়েছে ঘাটতি। গবেষণা কেন্দ্রটিতে ৪৬টি দেশী-বিদেশী মসলার ওপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা. . মো. জুলফিকার হায়দার প্রধান জানান, কেন্দ্রটিতে ৪৬টি দেশী-বিদেশী মসলার ওপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমদানিনির্ভর মসলাগুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমদানি কমে গেলে এটি হবে বড় সফলতা। গবেষণায় মসলার নতুন নতুন জাত আসছে, যা কৃষক পর্যায়ে চাষ হচ্ছে। দেশে প্রতি বছর সাড়ে ৬০ লাখ টন মসলার চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে সোয়া ছয় লাখ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫১ লাখ টনের বেশি মসলা। আগামীতে মসলা চাষ বাড়লে আমদানি ব্যয় কমে আসবে। গবেষণা ফলাফল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হয়। গবেষণায় তৈরি জাত বা বীজ বিএডিসির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আরও