মাদারীপুরে হঠাৎ বেড়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে শুধু জেলার সদর হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে শতাধিক রোগী। আক্রান্তের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। ডায়রিয়া রোগীর জন্য হাসপাতালে ছয়টি শয্যা থাকলেও রোগীর চাপে তা বাড়িয়ে ৩২টি করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রখর রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শ্বাসকষ্ট, জ্বর, বুক ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়েও ভর্তি হচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। যার অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। সেবা নিতে বহির্বিভাগেও বাড়ছে ভিড়। রোগ প্রতিরোধে বেশি করে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, ‘দূষিত পানির ব্যবহার এ রোগের অন্যতম কারণ। পচা-বাসি খাবার খেলেও এ রোগ হতে পারে। পানিবাহিত রোগ দেখা দিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। এছাড়া উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডায়রিয়া রোগীর জন্য হাসপাতালে ছয়টি শয্যা রয়েছে। তবে রোগীর চাপে তা বাড়িয়ে ৩২টি করা হয়েছে। পুরাতন ভবনেও দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা। এছাড়া পানিবাহিত অন্য রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে ছয়তলার নতুন ভবনে।
শরীয়তপুরের চন্দ্রপুর থেকে আসা শওকত মিয়া বলেন, ‘আমার সন্তান ডায়রিয়া আক্রান্ত। এজন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছি। প্রথমে খারাপ অবস্থা হলেও এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন আকতার শেখ। তিনি বলেন, ‘স্যালাইনসহ ওষুধ চলছে। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা করায় মেয়েটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে এখন কিছুটা সুস্থ।’