‘তথ্য আপা’দের আন্দোলনে সংহতি

সরকারের নির্লিপ্ততায় ক্ষোভ রাজনৈতিক নেতাদের

চাকরি স্থায়ীকরণে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের নারীদের দাবির বিষয়ে সরকারের নির্লিপ্ততায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

চাকরি স্থায়ীকরণে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের নারীদের দাবির বিষয়ে সরকারের নির্লিপ্ততায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের দাবির প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে অবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টাকে আন্দোলনাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

রাজস্ব খাতে চাকরি স্থায়ীকরণ ও পাওনা টাকার দাবিতে ২০ দিন ধরে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের নারীরা রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের বাইরে অবস্থান করছেন। গতকাল দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে তথ্য আপাদের দাবির প্রতি সংহতি জানাতে আসেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূঁইয়া।

অনশনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার যেভাবে দাবি আদায়ের পথ রুদ্ধ করেছে, তাতে মনে হয় এটি নতুন এক দমনমূলক সময়। আন্দোলন ছাড়া সাধারণ মানুষের দাবির প্রতি নজর নেই সরকারের। যেহেতু প্রকল্পটি তৃতীয় ফেজে যাচ্ছে, এ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জনবল হিসেবে পরবর্তী ধাপে যুক্ত করলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। কেবল দলীয় সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বলে এদের বাদ দেয়ার চিন্তা হলে রাষ্ট্রের সর্বত্রই সংকট দেখা দেবে।’

ফেনী জেলার ফুলগাজী থেকে আসা তথ্য সেবা কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘চাকরির চুক্তিতেই বলা হয়েছিল, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেয়া হবে। কিন্তু সেটি এখনো হয়নি। সব রকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে আমরা চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছি। আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখন অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে তথ্য আপা প্রকল্পের তৃতীয় ফেজে নতুন করে লোক নিয়োগের কথা শুনতে পাচ্ছি।’ নিয়োগ বাণিজ্য করতেই সরকারের এমন আয়োজন বলে জানান আন্দোলনকারী।

আরও