বিটিআরসির নতুন নিয়ম

লাইসেন্সধারীদের ১ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে

দেশে টেলিযোগাযোগ খাতে সেবা প্রদানকারী ও ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে লভ্যাংশের ১ শতাংশ পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দিতে হবে। এ অর্থ বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে যুক্ত হবে। বিটিআরসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত নতুন ১১ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে এ অর্থ প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

দেশে টেলিযোগাযোগ খাতে সেবা প্রদানকারী ও ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে লভ্যাংশের ১ শতাংশ পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দিতে হবে। এ অর্থ বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে যুক্ত হবে। বিটিআরসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত নতুন ১১ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে এ অর্থ প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। 

জানতে চাইলে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা নতুন করে টুজি, থ্রিজি, ফোরজি ও ফাইভজির জন্য সমন্বিত গাইডলাইন প্রণয়ন করেছি। সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য আগে থেকেই সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল বাধ্যতামূলক ছিল। এর মাধ্যমে বিটিআরসি একটি ফান্ড গঠন করেছে এবং বড় একটি অংশ টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগণের জন্য ব্যবহার করেছি। এখন নতুন করে আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য এ ফান্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’ 

২০১০ সালে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, দেশের টেলিকম অপারেটরদের গ্রস অডিটেড আয়ের ১ শতাংশ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে চাঁদা হিসেবে দিতে হতো। টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগণের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবা সহজলভ্য করতে এ অর্থ ব্যয় করা হয়। এ তহবিলে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ২ হাজার ২২৮ কোটি জমা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক সুদ বাবদ আয় হয়েছে ৫৭৫ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত এ তহবিলে মোট জমার পরিমাণ ২ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। ৯০২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বর্তমানে তহবিলের পরিমাণ ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। 

চার ধরনের খাত থেকে এ তহবিলে অর্থ জমা হয়। এগুলো হলো সরকার প্রদত্ত অনুদান, দেশী বা আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রদত্ত অনুদান, টেলিযোগাযোগ ও বেতার যোগাযোগ পরিচালনাকারীদের থেকে প্রাপ্ত চাঁদা এবং অন্য কোনো বৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত চাঁদা।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, চাহিদার ভিত্তিতে বিটিআরসি থেকে ২৭ ধরনের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এসব লাইসেন্সের মধ্যে রয়েছে সাবমেরিন কেবল, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ), ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), মোবাইল নাম্বার পোর্টাবিলিটি (এমএনপি), ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ), সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর, ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি), টাওয়ার শেয়ারিং, পাবলিক সুইচড টেলিফোন অপারেটর নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন), নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন), ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (এনআইএক্স), ভেহিকল ট্র্যাকিং সার্ভিসেস (ভিটিএস), ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিফোন সার্ভিস লিমিটেড, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, ভিস্যাট ইউজার লাইসেন্স, ভিস্যাট হাব অপারেটর লাইসেন্স, টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস), কল সেন্টার। 

এতদিন পর্যন্ত দেশের মোবাইল অপারেটররা লভ্যাংশের ১ শতাংশ অর্থ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য বিটিআরসিকে দিত। টেলিকম অপারেটর ছাড়া অন্য কোম্পানির জন্য এটি বাধ্যতামূলক ছিল না। নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, ১১ ধরনের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে এ খাতে লভ্যাংশ দিতে হবে। 

আরও