সংস্কার ও নির্বাচন চলতে পারে একই সঙ্গে —বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা নিশ্চিতে সংস্কার ও নির্বাচন একই সঙ্গে চলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা নিশ্চিতে সংস্কার ও নির্বাচন একই সঙ্গে চলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বৈঠকে সাইফুল হক বলেন, ‘‌১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা বারবার বিনষ্ট হয়েছে। নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের পরও প্রত্যাশা নষ্ট হয়েছে। স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আমরা আর সেই দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তি চাই না।’

বিগত ১৬ বছরের অপসংস্কৃতি, গুম, খুন, মানবাধিকার হরণের সময়ে ফিরে যেতে চাই না মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা পুরনো জামানায় ফিরে যেতে চাই না। আমরা এমন একটি দেশ দেখতে চাই, বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ভিন্ন ধর্ম, বিশ্বাস, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয়ের কারণে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।’

সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে মানুষের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা। সবার আলোচনার ভিত্তিতে ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা, যাতে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার মৌলিক তিন ভিত্তি—সাম্য, মানবিক অধিকার ও ন্যায়বিচার বাস্তবায়নের পথে আমরা হাঁটতে পারব।’

বেশি টানাটানি করলে ‘রশি ছিঁড়ে যাবে’—এমন মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার ও সুনাগরিকের অধিকারের দিকে দৃষ্টি রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দল মানুষের কাছে নানা বিষয়ে অঙ্গীকার করেছে। তাই আমরা মনে করি, জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা নিশ্চিতে সংস্কার ও নির্বাচন একই সঙ্গে চলতে পারে।’

বৈঠকের শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের নয়। এটা বাংলাদেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা। আমরা গণমানুষের এ আকাঙ্ক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই।’

আরও