বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেছেন, ‘গত ১৮ বছর এ দেশে হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও প্রাপ্ত ভাতা পর্যন্ত পায়নি তারা। অথচ মুক্তিযুদ্ধ করেনি এমন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট এবং ভাতা দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রের টাকার অপচয় করেছে।’
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মোংলা ও রামপালের নির্যাতিত অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে বাগেরহাটের দিগরাজ সর্বজনীন কালী মন্দির মাঠে নির্যাতিত অসহায় ২২ জনের হাতে সন্মাননা স্মারক ও ৩৫ জনকে অর্থ সহায়তা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা।
মোংলা উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ‘এ দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান দিয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। অথচ বিগত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, মূল্যবোধ ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক ছিল। আওয়ামী নেতাদের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে হত্যা করে এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। গত ১৬ বছর খুনি হাসিনা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে। তাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার কাছে দেশ স্বাধীনে অংশ নেয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো মূল্য ছিল না।’
মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আবু হানিফের সভাপতিত্বে এ সময় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক কৃষি বিষয়ক সহসম্পাদক কৃষিবিদ কে এম সানোয়ার আলম, জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি এম ডি আকবর আজাদ, মোংলা পৌর বিএনপির নেতা এমরান হোসেন, মাহবুবুর রহমান মানিক, ইমান হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মী বক্তব্য রাখেন।