কক্সবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয়েছেন সজীব কাজী নামে এক চিকিৎসক। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১টায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসাররা। গতকাল জরুরি বৈঠক শেষে বেলা ১টার পর থেকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হলেও নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সিসিইউতে ভর্তি থাকা আজিজ ভুল চিকিৎসায় মারা যান। ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করার পরই তার মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে হাসপাতালের ভেতরেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তার স্বজনরা। তারা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাজী সজিবকে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি হাসপাতালের কক্ষে আটকে রাখেন। এছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাংচুর করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে রাতেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিংঞো, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়ামিন হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জরুরি বৈঠক শেষে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশিকুর রহমান জানান, রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দায়িত্বরত চিকিৎসক সজীবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে জরুরি বিভাগসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে আপাতত জরুরি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডে যে রোগী ভর্তি রয়েছে, তাদেরও চিকিৎসা দেয়া হবে। আজ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।