কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ২৯ কৃষক যৌথ খামার গড়ে তুলেছেন। উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়ী গ্রামের ওই খামারের আওতায় ১০ বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন কৃষক। এরই মধ্যে জমি প্রস্তুত করে ক্যাপসিকামের চারাও রোপণ করেছেন।
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ নাইটশেড পরিবারের একটি ফুলেল উদ্ভিদ। এর অন্য নাম বেল পেপার ও সিমলা মরিচ। ক্যাপসিকামের উৎপত্তিস্থল আমেরিকায়। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্যাপসিকাম উৎপন্ন হয় চীনে। বাংলাদেশেও এটি বেশ জনপ্রিয়। মরিচ নাম হলেও এটি আসলে একটি সবজি। দেশীয় সবজি না হলেও এর চাষ ধীরে ধীরে বাড়ছে। মাছ, মাংস, সবজি, সালাদ সবকিছুতেই এর ব্যবহার রয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, ক্যাপসিকাম চাষে তাদের পূর্বাভিজ্ঞতা ছিল না। আতিয়ার রহমান হলেন প্রথম উদ্যোক্তা। তিনি গত বছর কিছু জমিতে ক্যাপসিকাম আবাদ করেছিলেন। পরিমাণে অল্প হওয়ায় জেলার বাইরে বিক্রি করতে সমস্যা হয়েছিল। আধুনিক পদ্ধতি মেনে কারো একার পক্ষে ক্যাপসিকাম চাষ সহজ ছিল না। তাই যৌথ খামারের চিন্তা করেন তারা।
কুষ্টিয়ায় ক্যাপসিকাম চাষ সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘যেসব ফসলের চাহিদা রয়েছে, সেটির উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে ক্যাপসিকাম চাষের জন্য প্রদর্শনী বাস্তবায়ন ও মাঠ দিবস করা হচ্ছে।’
নিজেদের অর্থায়নে জঙ্গলী আধুনিক কৃষি সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতিও গঠন করেছেন কৃষক। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করছে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প। প্রযুক্তির বিস্তৃতির পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে প্রকল্পটি। খামারের কয়েকজন কৃষককে পৃকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘বর্তমানে কৃষক লাভজনক কৃষির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এসব পণ্যের সব বিষয়েই কৃষকের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। কৃষক যাতে নিরাপদ উপায়ে সেগুলো চাষ করতে পারেন, এজন্য প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’