নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্প

ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবে ত্রুটি পেল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের প্রস্তাবে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকাসহ নানা ত্রুটি থাকায় প্রস্তাবটি সংশোধন করে পাঠাতে বলা হয়েছে।

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের প্রস্তাবে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকাসহ নানা ত্রুটি থাকায় প্রস্তাবটি সংশোধন করে পাঠাতে বলা হয়েছে। গত ২ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের নির্মাণ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ। যেখানে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। কলেজটির নিজস্ব কোনো অবকাঠামো না থাকায় বর্তমান জেনারেল হাসপাতালে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে ছাত্ররা আবাসিকে থাকছেন হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে। ছাত্রীরা থাকছেন নার্সিং কোয়ার্টার এবং বাইরের একটি ভাড়া বাসায়। নিজস্ব অবকাঠামো না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের স্থান নির্বাচন করা হয়েছে শহরের মশরপুর বাইপাস মোড়ের পাশের ২৫ একর জমিতে। যেখানে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে একটি নার্সিং কলেজ স্থাপন করা হবে। ৩৯ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৪৮০ টাকায় জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের নির্মাণ শাখায় প্রস্তাব পাঠিয়েছিল নওগাঁ জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি যেখানে নানা অসংগতি পায় তারা। যেখানে প্রথমেই জমির দাগসূচি, প্রাক্কলিত মূল্য ও স্ক্যাচম্যাপে কেবল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ারের স্বাক্ষর থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী এখানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) স্বাক্ষর থাকার কথা ছিল। এছাড়া প্রস্তাবটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম থাকলেও তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। 

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা নাহারুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌ভূমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদনের প্রকল্পের প্রস্তাবটি কী অবস্থায় পাঠানো হয়েছিল সেটি শিগগিরই দেখা হবে। 

আরও