নওগাঁর চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের চাল মজুদের খোঁজ নিতে কমিটি গঠন করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ। রোববার বিকালে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট মজুদ যাচাই কমিটি গঠন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান। এ কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন খাদ্য পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম ও কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক আনিছুর রহমান।
২১ জুলাই বণিক বার্তার প্রথম পাতায় ‘নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত চাল মজুদ করছেন নওগাঁর ব্যবসায়ীরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে নওগাঁর মিল মালিকদের অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুদের তথ্য। যেখানে মজুদদারদের সঙ্গে সরকারের নীতিনির্ধারক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সখ্যের কথাও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া দেশীয় চালের বাজারে অবৈধ মজুদকারীদের প্রভাব এবং মজুদবিরোধী অভিযানে প্রশাসনের অসহায়ত্বের বিষয়টিও প্রকাশ পায়। সংবাদটি প্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসে খাদ্য বিভাগ। প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে মজুদবিরোধী অভিযানের প্রস্তুতি নিতে রোববার বিকালেই গঠন করা হয় মজুদ যাচাইসংক্রান্ত তিন সদস্যের একটি কমিটি। মজুদ যাচাই কমিটিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত পত্রে জেলার অটোমেটিক ও হাসকিং মিলগুলোয় মজুদ করা চালের পরিমাণ সরজমিনে দেখে প্রতিবেদন দাখিল করতে নিদের্শনা দেয়া হয়।
মজুদ যাচাই কমিটির প্রধান জেলার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় এ-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ততার কারণে এখনো অভিযান শুরু করা হয়নি। অবৈধ মজুদকারীদের ধরার ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বনে পরিকল্পনা চলছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে গঠিত কমিটি যেকোনো মুহূর্তে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। অভিযানে কারো কাছে অবৈধভাবে চাল মজুদ পেলে ছাড় দেয়া হবে না।’