খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ‘সরকারের রাজস্ব প্রয়োজন। প্রচুর ভর্তুকিও লাগে। এ অর্থ কোথাও না কোথাও থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তাই কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, এতে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না।’
গতকাল সকালে মাদারীপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ বছরে অকালবন্যায় আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এতে খাদ্যনিরাপত্তায় ঝুঁকি ছিল। সেই ঘাটতি পূরণের জন্য বর্তমান সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে ভালো ফসল হবে, ইরি ধানের বাম্পার ফলন হলে চাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা, দেশের বিভিন্ন স্থানে সেই খাদ্য সঠিকভাবে পৌঁছানো। দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি কার্যক্রম সহায়ক হবে।’
খাদ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ওএমএসের সুবিধা বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতি উপজেলায় দুই টন করে চাল দেয়া হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী দুই মাস দেশের ৫০ লাখ উপকারভোগী মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।’
এ সময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার, পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. হাবিবুল আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চলতি মৌসুমের আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন নিয়ে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতি কার্যদিবসে উপজেলাগুলোয় দুই টন করে ওএমএসে চাল দেয়া হচ্ছে। দরকার হলে আমরা এটা আরো বাড়াব। আস্তে আস্তে বাজারে চাপ কমলে বাজারও স্থিতিশীল হয়ে আসবে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা হবে।’