বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘একদিকে সংস্কার জরুরি। অন্যদিকে প্রক্রিয়াগতভাবে আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করাও জরুরি। এজন্য সংস্কার, দ্রুত আওয়ামী লীগের বিচার ও দ্রুত নির্বাচন একে অন্যের সঙ্গে জড়িত। সবকিছু একসঙ্গে না হলে ফ্যাসিবাদ আবার সুযোগ নিতে পারে। সে সুযোগ বাংলাদেশে যাতে না হয়, এজন্য সব রাজনৈতিক দলের বৃহত্তর স্বার্থে এক টেবিলে বসা জরুরি।’
গতকাল দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজির পাড়া মোহাম্মদীয়া (সা.) কমপ্লেক্স দাখিল মাদ্রাসার উদ্যোগে দাখিল পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বার্ষিক মেধাভিত্তিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসক। যাদের নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়, তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারে না। কোনো দেশেই রাজনীতিক দল রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় স্থায়ী হবে এটা হতে পারে না। আওয়ামী লীগ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, সুতরাং গণহত্যার বিচার যদি দ্রুত হয়ে যায়। সে আইনে যে রায় আসবে, খুব স্বাভাবিকভাবে সে আইনেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্ররা আন্দোলন করেছেন। রাজনৈতিক দল করেছেন। সব রাজনৈতিক দলের সেটা অনুধাবন করা উচিত। এমন কোনো কথা বলা যাবে না, যা থেকে নিজেদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। কারণ আমাদের বৃহত্তর স্বার্থটাকে দেখতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
এ্যানি বলেন, ‘বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। অভিজ্ঞতার ব্যাপারে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে মতামত নেয়া বেশি জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বেশি আলোচনায় বসা দরকার।’