বান্দরবানের শিশু অপহরণ মামলায় এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু দমন নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেবুন্নাহার আয়েশা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মামলার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৭ জুলাই থেকে রাত ১১টায় বান্দরবান সদর হাসপতালের দ্বিতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডের একটি শয্যা থেকে মামলার আসামি মো. শহিদুল্লাহ পাঁচ বছরের এক মেয়েশিশুকে অপহরণ করে। সে সময় শিশুটির চিৎকারে অভিভাবকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুসহ অপহরণকারীকে হাসপাতালটির নিচতলা থেকে ধরে ফেলে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী ও ম্যাজিস্ট্রেসসহ সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল মামলার একমাত্র আসামির ১৪ বছরের সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর কৌঁসুলি বাসিংথুয়াই মারমা। আসামি পক্ষে ছিলেন কৌঁসুলি কৌশিক দত্ত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর কৌঁসুলি বাসিংথুয়াই মারমা। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মামলার এজাহার, চার্জশিট ও বাদীসহ সব সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনায় মামলাটি সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা মামলার আসামিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাস সাজার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের উপস্থিত ছিলেন।