আইইইবিএটি এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব বলেছেন, শিক্ষকদের মাঝে অনেককেই দেখি গবেষণার প্রতি আগ্রহ কম। আবার গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত ফান্ডিং এর অভাবও আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থাকলেও তা ব্যবহার হয় না গবেষণার জন্য। বিশ্বমানের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে শিক্ষকদের যথাযথ সময়, আগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশন পাওয়ার জন্য আর্থিক ব্যবস্থাও থাকতে হবে।
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া বণিক বার্তা আয়োজিত প্রথম বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা সম্মেলন ২০২৪ এ এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আব্দুর রব বলেন, বাংলাদেশের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ই র্যাংকিং এ আসতে পেরেছে। যদিও নিচের দিকে তবুও র্যাংকিং এ স্থান পাওয়াও একটা বড় ব্যাপার। এই যে বিশ্বমানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে র্যাংকিং এ স্থান পেতে চারটি মূল ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করতে হয়। এসব ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোন অবস্থায় আছে? রিসার্চ এর পরিমাণ যদিও আগের চেয়ে বেড়েছে তবুও আমি বলবো এই বিষয়ে এখনও আমরা বেশ পিছিয়ে। ছাত্র-শিক্ষকের আদর্শ অনুপাত হওয়া উচিত ২০ জন ছাত্রের জন্য ১ জন শিক্ষক। কিন্তু ৮০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই তা থেকে পিছিয়ে। এমপ্লয়ি রেটিং এর দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমপ্লয়িদের কোয়ালিটি সব ক্ষেত্রে উন্নত না।
তিনি আরো বলেন, গ্লোবাল ম্যানেজমেন্টের দিক থেকেও আমরা পিছিয়ে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেই বৈশ্বিক সংগঠন বা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যোগাযোগ নাই। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— দেশী শিক্ষকের পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষকের পরিমাণ। আমি আইইউবিএটির কথাই যদি বলি, সেখানে আমরা কিছু শিক্ষক নিয়েছি বিদেশী, যারা কেউ কেউ ফ্রিতেও পড়াচ্ছেন। অনলাইনে পড়ানোও এক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে৷ কিন্তু বিদেশী শিক্ষকের অনুপাত এখনও অনেক কম। সবগুলো ক্রাইটেরিয়াতেই আমাদের এখনও অনেক কাজ করার আছে আন্তর্জাতিক র্যাংকিং এ স্থান পাওয়ার জন্য।