এক দশকে সিএসআর খাতে ব্যাংকের ব্যয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

প্রায় ৭০ শতাংশই দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ বছরে দেশের ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এ ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই জমা দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। আর সেই অর্থ দিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনের মতো আয়োজনও করা হয়েছে।

বঞ্চিত ও অনগ্রসর মানুষের সামাজিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়নে দেশের ব্যাংকগুলোর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অর্থ ব্যয়ের কথা থাকলেও গত দেড় দশকে তা আবর্তিত হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল’ ঘিরে। যেকোনো উপলক্ষ কিংবা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংক চেয়ারম্যান কিংবা এমডিরা সিএসআরের অর্থ জমা দিতেন গণভবনে গিয়ে। হাসিমুখে ত্রাণ তহবিলের সে চেক গ্রহণ করতেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ বছরে দেশের ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এ ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই জমা দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। আর সেই অর্থ দিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনের মতো আয়োজনও করা হয়েছে। কেবল মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্যই শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টে অনুদান দেয়া হয় ২২৭ কোটি টাকা। সিএসআরের অর্থ ব্যয় হয়েছিল মুজিবের জীবনী নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণেও।

সিএসআর হলো এক ধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার বা রীতি, যা সমাজের প্রতি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকে নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত কার্যক্রমের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন ধরনের পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব দূর করা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে বিদ্যমান ক্ষোভ, অসমতা ও দারিদ্র্য কমানোর উদ্দেশ্যেই এর প্রবর্তন। বর্তমানে সারা বিশ্বেই সিএসআর খাতে ব্যয়কে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো প্রজ্ঞাপন জারি করে সিএসআর খাতে ব্যয় করার জন্য ব্যাংকগুলোকে দিকনির্দেশনা দেয়। তারপর একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিধিমালা দেয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মোট সিএসআরের ৩০ শতাংশ শিক্ষায়, ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্যে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ২০ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে (আয়-উৎসারী কার্যক্রম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং অন্যান্য) ২০ শতাংশ অর্থ ব্যয়ের নির্দেশনা দেয়। একই বছরের ২৯ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট তহবিলে মোট সিএসআর ব্যয়ের ৫ শতাংশ অনুদান হিসেবে দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব নির্দেশনা যদিও ব্যাংকগুলো মেনে চলেনি। সিএসআর ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষায় ব্যয়ের কথা থাকলেও গত বছর এ খাতে গেছে মাত্র ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ অর্থ। স্বাস্থ্যে ৩১ দশমিক ২৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় হলেও পরিবেশ ও জলবায়ু খাতে মাত্র ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ গেছে। অথচ অন্যান্য খাতে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ অর্থ ব্যয়ের কথা থাকলেও হয়েছে ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।

আওয়ামী লীগ আমলে নিয়মিতভাবেই শীত উপলক্ষে সিএসআরের অর্থে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কম্বল দিয়ে আসছিল বিএবি। তবে এ পর্যন্ত সংগঠনটি ত্রাণ তহবিলে কত কম্বল দিয়েছে, তার হিসাব চেয়েও পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া কম্বলের পরিমাণ হবে অন্তত চার কোটি পিস। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কম্বল না দিয়ে টাকার চেক জমা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। এ টাকায় কত পরিমাণ কম্বল কেনা হয়েছে, সেগুলো কোথায় বিতরণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মুজিব বর্ষ উদযাপনের পাশাপাশি গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিয়মিত সিএসআর খাতের টাকা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। আবার বন্যা, বড় যেকোনো অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনাকে ঘিরেও বিএবির পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলে টাকা দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা জমা দেয়ার জন্য প্রতি বছরই তিন-চার দফায় অনুষ্ঠান আয়োজন করত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের এ সংগঠনটির টানা ১৭ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। এক্সিম ব্যাংক পিএলসিরও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন।

বিএবির বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এতদিন বিএবির নামে যেটি হয়েছে, সেটি ছিল কেবলই চাঁদাবাজি। সংগঠনটি সাবেক চেয়ারম্যানের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে। টাকা চাইলেই দিতে হতো। এক্ষেত্রে টাকার অংকও নির্ধারণ করে দেয়া হতো।’

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো সিএসআরের অর্থ ব্যয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, ‘নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর এরই মধ্যে আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়েছি। সিএসআরের অর্থ কীভাবে আরো গঠনমূলক ও সমাজের উন্নয়নে ব্যয় করা যায় সে বিষয়ে ভাবব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের কল্যাণে ব্যাংকগুলো তার সামর্থ্য অনুযায়ী সিএসআরের অর্থ ব্যয় করবে।’

বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার ১ অক্টোবর গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে আছেন। গ্রেফতারের আগে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বণিক বার্তাকে তিনি বলেছিলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও আমরা ত্রাণ তহবিলে অর্থ দিয়েছি। আবার ২০০৭-০৮ সালের জরুরি অবস্থার সরকারের সময়ও বিভিন্ন প্রয়োজন ও দুর্যোগের মুহূর্তে ত্রাণ তহবিলে ব্যাংকগুলো অর্থ দিয়েছে। সময়ের বিবর্তনে এক্ষেত্রে কিছু কম-বেশি হতে পারে।’

দেড় দশক আগে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয়ের বড় অংশজুড়েই ছিল শিক্ষা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হতো শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেয়ায়। তবে ২০০৯ সাল-পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। পর্যায়ক্রমে সিএসআর ব্যয়ের প্রধান খাতই হয়ে ওঠে ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল’। এ খাতে ব্যাংকগুলোর ব্যয়ের পরিমাণও বেড়েছে ক্রমাগত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৫ সালে দেশের ব্যাংকগুলোর সিএসআর খাতে ব্যয় ছিল ৫২৭ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে এ ব্যয় ৪৯৭ কোটি টাকায় নেমে এলেও তার পরের বছর ৭৪৪ কোটিতে উন্নীত হয়। এরপর ২০১৮ সালে ৯০৫ কোটি, ২০১৯ সালে ৬৪৮ কোটি, ২০২০ সালে ৯৬৮ কোটি ও ২০২১ সালে সামাজিক দায়বদ্ধতার এ খাতটিতে ৭৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যাংকগুলো। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো ব্যাংক খাতের সিএসআর ব্যয় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ওই বছর ব্যয় হয় ১ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২৩ সালে ৯২৪ কোটি ও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) এ খাতে ৩০৯ কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যাংকগুলো। সব মিলিয়ে ২০১৫ সাল থেকে গত জুন পর্যন্ত প্রায় ১০ বছরে সিএসআর খাতে ব্যাংকগুলো ব্যয় করেছে ৭ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে এ ব্যয় ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় গত বছর কোন কোন খাতে গেছে, সেটির একটি বর্ণনা পাওয়া যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে। তাতে বলা হয়, ২০২৩ সালে ব্যাংকগুলো দেশের শীতার্ত ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল’-এ ৬৯ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উপখাতে ব্যয় করেছে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’, অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট আয়োজনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ, শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ ইয়ুথ গেমস উদযাপনে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন-২০২৪ টুর্নামেন্ট’ উদযাপনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুকূলে এ অর্থ অনুদান হিসেবে দেয়া হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস উদযাপনের জন্য দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্য বিতরণেও ব্যাংকের সিএসআরের অর্থ ব্যয় হয়েছে। আর শিক্ষা খাতে ব্যয় করা অর্থে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, শিক্ষা উপকরণ ও অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে অনুদান দেয়া হয়। স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের একটি অংশ দেয়া হয় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণে। পরিবেশ ও জলবায়ু খাতের ব্যয়ের একটি অংশ ‘প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’ তহবিলে দেয়া হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএবির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। বর্তমানে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পুনর্গঠিত পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। ২০১৬ সালের আগে তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন। দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সিএসআর খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে এ ব্যাংকটি। জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সিএসআর হলো জাকাতের পরিপূরক। এটির মূলনীতি হলো সম্পদ নিচের দিকে ধাবিত হবে। অর্থাৎ, ধনীদের সম্পদে গরিবের হক আছে। সে হক যাতে গরিবরা পায় সে জন্যই জাকাত কিংবা সিএসআরের ধারণা এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাংক কিংবা বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতের অর্থ যেভাবে ব্যয় করছে, সেটি অনেকাংশেই লোক দেখানো। আর গত ১৫ বছর সিএসআরের অর্থে যা হয়েছে, সেটি নিয়ে মন্তব্য করাও অর্থহীন।’

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমরা ১৯৮৪ সালে সাদকা ফান্ড গঠন করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে এটি ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন নামকরণ হয়। এ ফাউন্ডেশনের অধীনে এখন সারা দেশে ১৯টি হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে। এসব হাসপাতালে অনেক অসহায়-দরিদ্র মানুষ বিনা টাকায় চিকিৎসা পাচ্ছে। আমি এমডি থাকা অবস্থায় চিকিৎসার বিল দিতে না পারা অসংখ্য মানুষের ভাউচারে স্বাক্ষর করেছি। তাই আমি মনে করি, ব্যাংকের সিএসআর হওয়া উচিত প্রত্যেকটি শাখাকে কেন্দ্র করে। এ অর্থে শাখার আশপাশে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা, স্যানিটারি টয়লেট স্থাপন, ফ্রি প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা, গরিব ও অসহায় মানুষকে সচ্ছল করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া দরকার।’

আরও