সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু

দীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ প্রথমদিনে ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা করে।

অবশেষে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে।

রোববার (১ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামক একটি জাহাজ।

যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে জাহাজ

এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ যাতায়াত সাময়িক রন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকেদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও জাহাজের পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ প্রথমদিনে ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা করে। ৭০০ জনের মধ্যে দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছে। ফলে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে। জাহাজটি বিকাল সাড়ে ৩টায় সেন্টমার্টিন পৌছবে সেখান থেকে ৫টায় কক্সবাজার ছেড়ে আসবে।

সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, প্রথমদিনে যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। আমরা সবকিছু পরিদর্শন করেছি। কোন অসংগতি ও পর্যটক হয়রানি সহ্য করা হবেনা।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে কেয়ারী সিন্দাবাদ ও আরেকটি জাহাজ চলাচলের কথা রয়েছে।

আরও