রাজশাহীতে
গুলিবিদ্ধ ছাত্রশিবির নেতা আলী রায়হানের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই রানা ইসলাম বাদী হয়ে ১ হাজার ২০০
জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি
করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫০ জনের নাম
উল্লেখসহ ১ হাজার ২০০
জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, তার ছোট ভাই জেডু সরকার, নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, যুবলীগ কর্মী জহিরুল হক রুবেল, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও শফিকুজ্জামান শফিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজীব, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবীন সবুজ, রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি রাশিক দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল গালিব ও সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া।
এছাড়া এজাহারে আসামিদের তালিকায় রয়েছেন কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবু, কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, কাউন্সিলর শাহাদাৎ হোসেন শাহু, কাউন্সিলর মাহাতাব উদ্দীন, কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্যানেল মেয়র-১ নিযাম-উল-আযীম, কাউন্সিলর আরমান আলী, নগর যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিকুর রহমান কালু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রাজা।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, বর্তমানে আসামিরা পলাতক। তবে তাদের গ্রেফতারে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের আগে রাজশাহী নগরীর আলুপট্টিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নগর সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হান।