পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা আরও কমেছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরের এই জেলায় সকাল ছয়টায় তাপমাত্রা নেমেছে সাত ডিগ্রির ঘরে, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড। এর ফলে এই জেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি ধরনের কুয়াশাও পড়ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। গতকাল সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ছয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা আছে প্রকৃতি। শীত উপেক্ষা করেই সকালেই বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। পাথর ও বালু শ্রমিকরা করতোয়া নদীতে বরফগলা পানিতে নামতে পারছেনা। কেউ কেউ ঘাটে নদীর ঘাটে বসে আছেন। তবে শীত কুয়াশা উপেক্ষা করে অটো ইজিবাইক শ্রমিকরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন ধরে শীত বেড়েছে। রাতভর তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের তুলনায় রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। পঞ্চগড় সদর উপজেলা হিলিপ্যাড এলাকার ইজিবাইক চালক সাইফুল জানান আজকে রোদের কোন উত্তাপ নেই। কনকনে শীতে গাড়ি চালাতে কষ্ট হয় । বাজারে লোকজনও কম।
এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান এ পর্যন্ত ১৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও কম্বলের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।