নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা সোয়া ১টার দিকে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া থেকে মাটি চাপা দেয়া পাঁচটি বস্তায় ভরা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন মিজমিজি এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের মেয়ে লামিয়া আক্তার (২২), তার ছেলে আব্দুল্লাহ হাবিব (৪) ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তার (৩৪)। তাদের মধ্যে স্বপ্না আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় লামিয়ার স্বামী ইয়াছিন আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, চারদিন ধরে লামিয়া আক্তার, তার ছেলে আব্দুল্লাহ হাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তার নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল ভাড়া বাড়ির পাশের একটি জায়গায় কুকুর মাটি খুঁড়ছিল। এ সময় একটি মরদেহের হাত বের হয়ে আসে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে বস্তায় ভরা তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডের জন্য ইয়াছিন আলীকে দায়ী করে তার ফাঁসি দাবিতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসনিম আক্তার জানান, সম্প্রতি ইয়াছিন আলীকে তার সৎমা মাদকাসক্তির কারণে পুলিশে সোপর্দ করেন। ক্ষোভের কারণেই ইয়াছিন আলী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যা করে থাকতে পারেন। ইয়াছিন আলীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্বপ্না ও লামিয়ার বড় বোন শিরিন বেগম বলেন, ‘চারদিন ধরে দুই বোন ও ভাগ্নের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। স্বপ্না মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। লামিয়ার স্বামী বখাটে। তাদের সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই নারীর মরদেহ ছিল খণ্ডিত। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।