সরবরাহ বাড়লেও ভোলায় কমেনি নিত্যপণ্যের দাম

ভোলার বিভিন্ন বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম কমেনি। শুধু সবজিই নয়; তেল, ডাল, চিনি, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ভোলার বিভিন্ন বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম কমেনি। শুধু সবজিই নয়; তেল, ডাল, চিনি, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে।

ভোলার পৌর এলাকার কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে আলু প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা কমে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা। তবে কমেনি নতুন পেঁয়াজের দাম। মসলাজাতীয় পণ্যটি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। এছাড়া টমেটো ৪০-৫০ টাকা, করোলা ৭০-৮০, ঢেঁড়স ৮০, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৭০, মুলা ২৫, বরবটি ৫০ ও পেঁপে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

ঝাঁজ কিছুটা ধরে রেখেছে কাঁচামরিচ। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। এছাড়া চিচিঙ্গা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৭০, কচুরলতি ৬০, গাজর ৫০, শসা ৪৫ টাকা। কাঁচকলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৪০ টাকা, বড় আকৃতির লাউ ৮০-১০০ টাকা। লালশাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউশাক ২০-৩০, মুলাশাক ২০-২৫, পালংশাক ২০-৩০, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে শীতের শুরুতে সবজির দাম যা দেখা গেছে বর্তমানে তার কিছুটা কমলেও গত বছরের তুলনায় অনেকাংশে বেশি বলেই মনে করছেন ক্রেতারা।

ভোলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মোস্তফা সোহেল। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শীতকালীন সবজি ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সরবরাহ তুলনামূলক কম। বাইরের জেলা থেকে এগুলো সংগ্রহ করতে হয়। এতে পরিবহন খরচসহ সবদিক বিবেচনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। স্থানীয়ভাবে যদি উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো যেত তাহলে বাজারমূল্য অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা যেত।’

এ বিষয়ে ভোলা ভোক্তা অদিধপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যদি অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও