নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব কুমিল্লার বাজার

সরকার দেশের বাজারে পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেও কুমিল্লার বাজারগুলোতে তার প্রভাব দেখা যায়নি। মাছ, মাংস, সবজি থেকে শুরু করে মুদি পণ্যের দোকান—সব জায়গাতেই পলিথিনের পণ্য বিক্রি চলছে।

কুমিল্লার কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের অবাধ ব্যবহার চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই এ নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। বিকল্প সামগ্রী ব্যয়বহুল হওয়ায় এবং সচেতনতার অভাবে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই পলিথিন ব্যবহার করছেন বলে দাবি করেছেন।

সরকার দেশের বাজারে পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেও কুমিল্লার বাজারগুলোতে তার প্রভাব দেখা যায়নি। মাছ, মাংস, সবজি থেকে শুরু করে মুদি পণ্যের দোকান—সব জায়গাতেই পলিথিনের পণ্য বিক্রি চলছে।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেটের সবজি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্রেতারা বাজারে ব্যাগ নিয়ে আসেন না। পলিথিনে সদাই না দিলে নিতে চান না। আর ১০ টাকা দামের ব্যাগ দিলে টাকাও দিতে চান না। এ অবস্থায় আমরা বিপাকে পড়ে পলিথিন ব্যবহার করছি।

রাজগঞ্জ বাজারের আলু ব্যবসায়ী জোসেফ বলেন, পলিথিন ছাড়া বিক্রি করলে সারা দিন বসে থাকতে হয়। পাশের দোকানদাররা পলিথিন দেয়। বাধ্য হয়ে আমাকেও পলিথিন কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।

একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন মুদি দোকানি কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, পলিথিনের বিকল্প নেই বললেই চলে। তবে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।

নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপক সাহা বলেন, পলিথিন উৎপাদন বন্ধ না করলে এর ব্যবহার বন্ধ হবে না। পাশাপাশি পলিথিনের বিকল্প কম দামে বাজারে সরবরাহ করা উচিত। তাহলে নিজেরাই পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে দেবে।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার জানান, পলিথিন নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। তিনি বলেন, ধীরে ধীরে হলেও পলিথিনের ব্যবহার কমছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পলিথিনের ক্ষতিকর দিকগুলো বোঝানোর চেষ্টা করছি। সবাই সচেতন হলে দ্রুত পলিথিন নির্মূল করা সম্ভব হবে।

পলিথিন নিষিদ্ধকরণে প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিকল্প সরবরাহ। তা না হলে পলিথিন ব্যবহারে লাগাম টানা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও