একমাত্র ছেলে আরহাম মায়ের কাছে আবদার করেছিল কাচ্চি খাবে। ছেলের আবদার
রক্ষায় তানজিনা এষা কাচ্চি খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে।
সঙ্গে ছিলেন অন্য আত্মীয়স্বজন। সেখানে বৃহস্পতিবারের অগ্নিকাণ্ডে সন্তান ও সঙ্গে থাকা
আত্মীয়স্বজনদের বের করে দিতে পারলেও দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন এষা। শুক্রবার (১ মার্চ) তানজিনা
এষার মামাতো ভাই নাজমুস সাকিব তুষ্টি তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, তানজিনা এষা পিরোজপুরে লেখাপড়া শেষ করে ঢাকায় ইডেন কলেজে
ভর্তি হন। সেখানে পড়ালেখা শেষে তার বিয়ে হয়। তানজিনা এষা তার স্বামী সন্তানকে নিয়ে
রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় বসবাস করেন। কাচ্চি খেতে হোটেলে তানজিনা এষার সঙ্গে
ছেলে আরহাম, তানজিনার খালাত ভাই তানভীর মুজিব অভির স্ত্রী লামিয়া ও তার (লামিয়ার) ভাই
আবির ও অভির দুই সন্তান নাবা ও আয়রা গিয়েছিল।
নাজমুস সাকিব বলেন, রেস্টুরেন্টে আগুন লাগলে তানজিনা এষা তার ছেলে
আরহাম, খালাত ভাইয়ের স্ত্রী লামিয়াসহ অন্যদের বের করে দিয়ে নিজে বের হওয়ার চেষ্টা করেন।
তখন অন্য এক লোক বের হওয়ার চেষ্টা করেন। একই সময়ে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিকট শব্দ হয়,
আর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে কক্ষ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হন তানজিনা এষা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান তানজিনা
এষা।