আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিচার যত দ্রুত হবে, তত দ্রুতই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
আজ শনিবার (২৯ মার্চ) লক্ষ্মীপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অত্যাচার, নির্যাতন, গুম ও খুনের নির্দেশ দিয়েছেন। জুলাইয়ের আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে সরাসরি গুলি করে ছাত্রসহ সাধারণ মানুষকে হত্যার নির্দেশও তিনি দিয়েছেন। বিএনপি বারবার বিচার দাবি করলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এ্যানি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এতে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাইয়ের আন্দোলনেও বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ ও পঙ্গু হয়েছেন। তারপরও বিচার শুরু হয়নি। তাই সরকারের কাছে প্রত্যাশা, হাসিনার বিচার যত দ্রুত হবে, তত দ্রুতই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে।
শহরের গোডাউন রোডের বশির ভিলায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আওয়ামী দুঃশাসনের শিকার গুম, খুন পরিবার ও পঙ্গু নেতাকর্মীদের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ্যানি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
তিনি আরো বলেন, পাঁচ বছর আগে বিএনপি প্রথম তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে নতুন সংস্কার চেয়েছিল। বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় মানুষ সুশাসন পায় না। এমনকি সঠিক নির্বাচন হওয়াও কঠিন। বিএনপি এক দফা আন্দোলনও করেছে। যারা বিরোধিতা করেন, তাদের বলতে চাই, বিএনপি হাসিনার বিচার, সংস্কার ও গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী করার মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকার চেয়েছে।
এ্যানি বলেন, বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করেনি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের নিয়ে ঐক্যমতের সরকার গঠনের কথা বিএনপি বলেছে। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে মতের অমিল থাকলে দোসররা সুযোগ পেয়ে যাবে। ফ্যাসিবাদকে আর সুযোগ দেয়া যাবে না। হাসিনার অন্যায় কাজে জড়িত নেতাকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া বেশি। কারণ আমাদের আন্দোলনের ফসলই এই সরকার। তাই হাসিনার বিচার ও দ্রুত নির্বাচন চাই। হাসিনার বিচার ও নির্বাচন না হলে স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
এ্যানি আরো বলেন, তারেক রহমান অতীতে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা একই পরিবারের সদস্য। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এলে গুম-খুন হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারকে আরো বেশি সহযোগিতা করা হবে।
অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, সদর (পূর্ব) বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর স্বপন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম বক্তব্য দেন।