আর্থিক পরিষেবা খাতগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই প্রযুক্তিনির্ভর গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, বিশেষত বীমা খাতের জন্য। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইন্স্যুরেন্সে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম তৈরিতে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় আলোচকরা এ সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌঁছেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা বলিষ্ঠ ও টেকসই বীমা শিল্পের বিকাশে দক্ষ মানবসম্পদের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ফারুক মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। এছাড়া সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং বিভিন্ন লাইফ ও নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিইও এবং অন্যরা আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও আলা আহমেদ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. জালালুল আজিম, এলআইসি বাংলাদেশের এমডি ও সিইও শাশ্বত রায়, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সিইও আনোয়ারুল হক, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এমডি ও সিইও মো. আপেল মাহমুদ, বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের এমডি ও সিইও মুন্সী মো. মনিরুল আলম অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করে।
ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম জাহীদের সঞ্চালনায় এবং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখের সভাপতিত্বে ওই গোলটেবিল বৈঠকে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সিইও মো. খালেদ মামুন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করে।
এ সময় ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সম্পর্কের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী তার বক্তব্যে ইন্স্যুরেন্স পাঠ্যক্রমের ওপর আয়োজিত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।