বাসে পেট্রোলবোমা

দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি শহীদুল

আদালতে তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত প্রথম দফায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে বুধবার (১৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় আরো দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় আটজন নিহতের ঘটনায় দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক, যুগ্ম সচিব কিবরিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম সেলিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে তাদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহানা সুলতানা তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর আলম জানান, দ্বিতীয় দফার চার দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

এর আগে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহানা সুলতানার আদালতে তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত প্রথম দফায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে বুধবার (১৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় আরো দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

২০১৫ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে চৌদ্দগ্রামে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ বিএনপি-জামায়াতের ৬৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

পরে, ১১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আবু বকর সিদ্দীকের আদালতে বাসের মালিক আবুল খায়ের আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, দুই দফার রিমান্ডে পাওয়া তথ্যগুলো তদন্তে সহায়ক হতে পারে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

আরও