নুরুল হক নূর

বাংলাদেশ দখল করা এত সহজ নয়

নূর বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও ন্যায্য সম্পর্ক থাকবে, কোনো গোলামির সম্পর্ক নয়।

বাংলাদেশ দখল করা এত সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একদিকে চীন আর অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যা তৈরি করছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে লাগলে ভারত টিকে থাকতে পারবে না।

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নূর বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও ন্যায্য সম্পর্ক থাকবে, কোনো গোলামির সম্পর্ক নয়। তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছরে সীমান্তে হত্যার কোনো প্রতিবাদ করেনি আওয়ামী লীগ সরকার। বরং সরকারের মন্ত্রীরা নির্লজ্জভাবে বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। এখন সে মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ ভারতের দাসত্ব মেনে চলা একটি দল।

নূর আরো বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে দেশের মানুষ শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের পতন ঘটায়নি। ভারতের আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদকেও প্রতিহত করেছে। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো স্থান হবে না। ইতিহাসে দেখা গেছে, গণহত্যা ও বর্বরতার পর কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারেনি। একই পরিণতি আওয়ামী লীগেরও হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস হবে না উল্লেখ করে নূর বলেন, অতীতে সুবিধাবাদী ও ভাওতাবাজ রাজনৈতিক নেতাদের কারণে জনগণ রাস্তায় নামেনি। কিন্তু এবার ছাত্র ও সাধারণ জনগণকে বিশ্বাস করে গণঅধিকার পরিষদ আন্দোলন করেছে। তিনি বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ কৃষক ও শ্রমিকরাই লড়াই করেছে। কিন্তু সুবিধা ভোগ করেছে কিছু ভণ্ড রাজনৈতিক নেতারা।

তিনি আহ্বান জানান, এখন সময় এসেছে ভণ্ড ও ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদদের পাশে না দাঁড়িয়ে সাধারণ ছাত্র ও জনগণের নেতৃত্বে দেশ গড়ে তোলার।

নূর বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যে লুটপাট, দখলদারি, চাঁদাবাজি ও মাফিয়াদের রাজনীতি চলেছে, গণঅভ্যুত্থানের পরেও তার পুরোপুরি অবসান হয়নি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখনো টেম্পু, অটো ও ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজি চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। আওয়ামী লীগ চলে গেলেও কারা চাঁদাবাজি করছে তা নজরদারির আহ্বান জানান তিনি।

পঞ্চগড় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মাহাফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন দলের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর আসাদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। এ সময় মাহাফুজুর রহমানকে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন নূর। গণসমাবেশে জেলার পাঁচ উপজেলার নেতাকর্মীসহ হাজারো সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

আরও