রংপুরে যমুনেশ্বরীর পানি বেড়ে কিছু এলাকা প্লাবিত

উজানের ঢলের পানি কমার প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও রংপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো যমুনেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

উজানের ঢলের পানি কমার প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও রংপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো যমুনেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে বদরগঞ্জ পৌরসভার একটি ওয়ার্ড এবং দুটি ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকার ৫০০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টা পানিয় বৃদ্ধির প্রবণতা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে উপজেলা প্রশাসন দুর্গত এলাকায় গত রোববার থেকে ভোগান্তিতে থাকা মানুষের খোঁজ নেয়াসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যমুনেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধিতে বদরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি ওয়ার্ডের আংশিক, একটি আবাসনসহ দুটি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। তবে পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া আছে। তারা গত রোববার থেকে দুর্গত এলাকায় খোঁজ রাখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। সাধ্যমতো সহায়তাও করছে।’

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গতকাল বেলা ৩টা ৫২ মিনিটে যমুনেশ্বরী নদীর পানি বদরগঞ্জ পেয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত সোমবার নদীর পানি ওই পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘উজানের ঢলে যমুনেশ্বরী নদীর পানি বেড়েছে। ফলে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি কমতে পারে।’

বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, ‘ফসল নিমজ্জিত হলেও কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। কারণ ধানের অনেক জাত আছে। যেমন ব্রি-৯১ ও ৯২ জাত পানিতে প্রায় ১৪ দিন নিমজ্জিত থাকলেও গাছের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে অন্যান্য জাত সাত-আটদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকার পর সমস্যা দেখা দেবে। পানি যেহেতু আর বাড়ছে না, তাই ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’

আরও