খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত
রেজিস্ট্রার, প্রভোস্ট ও প্রকল্প পরিচালকসহ ৬৭ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ
করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এ তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
গোলাম কুদ্দুস জানান, তিনিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহামুদ
হোসেন, সহ-উপাচার্য মোসা. হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার অমিত রায় চৌধুরীসহ সব প্রভোস্ট ও
সহকারী প্রভোস্টসহ ৬৭ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সকলেই ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে তিনি
জানান।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) পদত্যাগ করে তারা পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের
আচার্য ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবের নিকট পাঠিয়েছেন।
দুপুরে পদত্যাগের আগে উপাচার্য ড. মাহামুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
২০২১ সালের ২৫ মে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন
মাহমুদ হোসেন। এছাড়া মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সহ-উপাচার্য হিসেবে
যোগদান করেন। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অমিত রায় চৌধুরী ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট যোগদান করেন।
এর আগে ১১ আগস্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক
মো. শরীফ হাসান লিমন ও আটজন ছাত্রবিষয়ক সহকারী পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করেন। ১১ আগস্ট
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তারা তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার উপাচার্যের পদত্যাগ না করার দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলন চলাকালে উপাচার্য মাহমুদ হোসেনের ভূমিকা ছিল শিক্ষার্থীদের পক্ষে। তিনি আন্দোলন
চলাকালে ক্যাম্পাসে কোনো পুলিশ ঢুকতে দেননি। তবে সে সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সময়
নেন তিনি।