মা-ইলিশ রক্ষা ও নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে নদী ও সাগরে মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ১৩ অক্টোবর। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিপণন বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল-জরিমানারও বিধান রয়েছে। জেলা-উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও টাস্কফোর্স বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করলেও চাঁদপুরে বন্ধ হয়নি মাছ ধরা। হাইমচরের গাজীপুরের মণিপুর চরে অস্থায়ী হাট বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রথম দফায় হাট বসে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় চলে ইলিশ বেচাকেনা। মণিপুর চরের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে এ হাট বসানো হয়। অভিযোগ রয়েছে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির স্পিডবোটচালক জয়নাল এ কাজে সহযোগিতা করছেন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে চরভৈরবী ইউনিয়নের এক মেম্বার বলেন, ‘জয়নাল নৌ-পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে ইলিশ বেচাকেনা করছেন। বিষয়টি নৌ-পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাকেও জানিয়েছি।’
নীলকমল নৌ-পুলিশের এসআই আরিফ হোসেন বলেন, ‘জয়নাল আগে পরে এমন কাজ করলেও এখন করেন না। স্থানীয় বোটচালক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তার বিরোধ থাকায় বানোয়াট কথাবার্তা বলছে। তাছাড়া জয়নাল আমাকে অনেক তথ্য দেয়, তাই তাকে কাজে রেখেছি।’