গোলটেবিল বৈঠকে আলী রীয়াজ

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসন ও বিচার বিভাগ পুনর্গঠন না করে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা ফিরে আসতে পারে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসন ও বিচার বিভাগ পুনর্গঠন না করে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা ফিরে আসতে পারে। তাই ভবিষ্যতে স্বৈরতন্ত্রের পুনরুত্থান ঠেকাতে হলে কাঠামোগত পরিবর্তন করতে হবে। জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।’

গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, সাবেক সচিব আবদুল আউয়াল মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মাহরুখ মহিউদ্দিন প্রমুখ।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘১৬ বছর ধরে ব্যক্তিতান্ত্রিক শাসনের ফলে দেশের দুর্বল ও ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে। বিচার বিভাগের দিকে তাকালে বোঝা যায়, বিগত বছরগুলোয় কীভাবে এটি ধ্বংস করা হয়েছে। শুধু এটিই নয়, অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোরও একই অবস্থা।’

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ ব্যবস্থায় পৌঁছতে তার ১৫ বছর লেগেছে। তিনি নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ভেঙে দিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলায়নের পর রাষ্ট্র কাঠামোকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য অপূর্ব সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে, যাতে একটি “‍নাগরিক সনদ” তৈরি করা যায়।’

আরও