পাহাড় কাটা বন্ধ করতে ও ঝিরির পানিপ্রবাহ নির্বিঘ্ন রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর তৎপর। তার পরও বান্দরবানে বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা ও ঝিরিতে বাঁধ দেয়া। সম্প্রতি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি পাড়ায় পাহাড় কেটে ঝিরিতে বাঁধ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে পাহাড় কাটার কাজ বন্ধ রাখা হয়। এর আগে কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে প্রায় এক মাস ধরে কাটা পাহাড়ের মাটি কাঁঠাল ছড়ার একটি শাখা ছড়া ভরাট করে বাঁধ দেয়া হয়। এর ফলে ঝিরির পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, একটি প্রবহমান ছড়াঘেষাঁ পাহাড় কাটা হয়েছে। পাহাড়ের মাটি ঝিরিতে ভরাট করে বাঁধ দেয়া হয়েছে। মাটি ভরাট করে বাঁধের পাড় থেকে কম-বেশি ১০ শতক জায়গায় ৩০ ফুট পর্যন্ত পাহাড় কাটা হয়েছে।
পাহাড় কেটে ঝিরিতে বাঁধ দেয়ার বিষয় স্বীকার করেছেন মো. আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু। তিনি সেলফোনে বলেন, ‘কে কোন গ্রাউন্ড থেকে অভিযোগ দিয়েছে, তা দেখা উচিত। আইন নয়, মানবিক দিক থেকে দেখলে, কারো জায়গা ক্ষতি না করে বাঁধ করেছি। বাঁধ তো হয়ে গেছে। তিন মাস ধরে বাঁধ দিয়েছি। এখন বাঁধের পাড়ে শুধু ঘাস রোপণ বাকি রয়েছে।’
পাহাড় কেটে পানির যেকোনো ধরনের উৎসে মাটি ভরাট করে বাঁধ দেয়া অবৈধ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আইন পরিপন্থী কোনো কাজকে পরিবেশ অধিদপ্তর কখনো অনুমোদন দেয় না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে।’