মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গরুর মাংসের দাম সস্তা করানোর কথা বলে অনেকেই মাংস আমদানির অনুরোধ করে থাকেন। মাংস খাওয়ার জন্য বিদেশ থেকে আমদানি নয় বরং গবাদি পশুর মানোন্নয়নে গরু আমদানি করব।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শৈলকুপা উপজেলায় হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সম্মিলিত খামারি পরিষদ আয়োজিত প্রান্তিক খামারি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিল বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে বাওড়ের ইজারা দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, তিন মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যায় দ্রুতই এর সমাধান হবে। তিনি কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে বলেন, এসব জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের দুধ আছে কিন্তু ভাণ্ডার নেই। এবার আমরা ক্যাটেল হাব তৈরির মাধ্যমে দুধের ভাণ্ডার গড়ে তুলব। সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে যাতে টাটকা দুধ মানুষ কিনতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। শৈলকুপাসহ জেলার খামারিদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার একটি সুস্থ ও মানবিক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে কোনো বৈষম্য থাকবে না এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তরিকুল ইসলাম তুরকির সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গ্যাব্রিয়েল পিনেদাছ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ড. আমিনুল হক, এলডিডিপি প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, খামারিদের পক্ষে বক্তব্য দেন মনীষা সেনানি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেক রেজা। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন কনক রহমান, সঞ্চালনায় ছিলেন শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের মুখপাত্র মো. তানজীর আলম (রবিন) প্রমুখ।