কুমিল্লায় সড়কে এলজিইডির অনিয়ম দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের অভিযান

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২.৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে দরপত্র আহবান করেছিল এলজিইডি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ ২০২৪ সালে কাজটি সম্পন্ন করে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে একটি সড়ক পাকাকরণে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ শেষ করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সরেজমিনে রাস্তায় অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত কুমিল্লা কার্যালয়ের একটি টিম মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ওই উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের যাত্রাপুর থেকে শ্রীপুর ইউপির পারুয়ারা পর্যন্ত সড়কের বেশ কিছু অংশ পরিদর্শন করেন। এ সময় সড়কের কিছু অংশে নিম্নমানের কাজের সত্যতা পায় দুদক তদন্ত টিম।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২.৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে দরপত্র আহবান করেছিল এলজিইডি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ ২০২৪ সালে কাজটি সম্পন্ন করে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লা থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চৌদ্দগ্রামের উপজেলা প্রকৌশলী নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ ২০২৪ সালে কাজটি সম্পন্ন করেন। এ কাজের ওয়ার্ক অর্ডারের পূর্বে এগ্রিমেন্ট ডিডে জামানত হিসেবে ১০ শতাংশ টাকা জমা আছে। যেহেতু দুদকের টিম কিছু কিছু জায়গায় কাজের ত্রুটি পেয়েছে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা থেকে পুনরায় কাজটি রিপেয়ারিং (মেরামত) করে নেব।

দুদকের সহকারী পরিচালক তারিকুর রহমান বলেন, সরেজমিনে এসে আমরা সড়কের কিছু কাজের ত্রুটি পেয়েছি, ওই কাজের শুরু থেকে বিল উত্তোলন পর্যন্ত কিছু নথি এলজিইডির নিকট চাওয়া হয়েছে। এসব পাওয়ার পর বিধি অনুসারে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। এ নিয়ে এখনই এর বেশি কিছু মন্তব্য করা যাচ্ছে না।

আরও